বাংলাদেশের অর্থনীতি: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের অর্থনীতি: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, যথাযথ নীতি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। এটি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে তা বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ব্যাংকিং খাতের সংকট ও উত্তরণের পথ

দেশের ব্যাংকিং খাত দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকটে ভুগছে, যার একটি বড় অংশ খেলাপি ঋণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সংকট নিরসনে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। যুগান্তর পত্রিকা জানিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনা ছাড়া ব্যাংক খাতের চলমান সমস্যা থেকে উত্তরণ কঠিন হবে। ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে একটি টেকসই সমাধানের দিকে এগোতে হবে। টেকসই ব্যাংকিং নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতা আনবে।

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইতিবাচক চিত্র

গত বছরের গণ-আন্দোলনের পরপর যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, তার তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেকটাই ভালো অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়। বিবিসি বাংলার সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বেসরকারি খাতের সক্রিয়তার ফলে অর্থনীতি পুনরায় গতিশীল হচ্ছে। যদিও মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান, তবে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি একটি স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান করতে হলে সুশাসন এবং নীতিগত ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অপরিহার্য।

Share this article:

সর্বশেষ খবর