এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে আজ এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় শুরু হবে এই গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। প্রতিবেশী দুই দেশের এই ফুটবল দ্বৈরথ ঘিরে দর্শকদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ইতিবাচক ফল তুলে নিতে বদ্ধপরিকর। এটি কেবল একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, দুই দেশের মধ্যে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক নতুন অধ্যায়। বাংলাদেশ দলের জন্য এই ম্যাচটি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বাছাইপর্বে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে হলে এই ম্যাচে ভালো ফল করা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মাঠে নামবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ফুটবলপ্রেমীদের নজর থাকবে এই ম্যাচের দিকে, যেখানে বাংলাদেশের খেলা তাদের ভবিষ্যৎ যাত্রায় বড় প্রভাব ফেলবে।
ভারতের বিপক্ষে আজকের ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দলটি এই 'আবেগঘন' ম্যাচটির চাপ সামলাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থনকে পুঁজি করে নিজেদের সেরাটা দিতে চান খেলোয়াড়রা। জামাল ভূঁইয়ার মতে, ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার সময় মানসিক দৃঢ়তা অত্যন্ত জরুরি, এবং তার দল সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলের কোচও খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে নিরলস কাজ করেছেন।
সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে দলের খেলা মিশ্র হলেও, এই ম্যাচের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রতিটি খেলোয়াড়ই নিজেদের উজাড় করে দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলের রক্ষণভাগ, মাঝমাঠ এবং আক্রমণভাগে সমন্বয় ও বোঝাপড়া বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অধিনায়কের আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য নিঃসন্দেহে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মধ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তাদের মাঠে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে অনুপ্রাণিত করবে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। ভারতের কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রীর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ফলে তার অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা। দ্য ডেইলি স্টার সূত্রে জানা গেছে, ছেত্রীর মতো একজন অসাধারণ গোলদাতার অনুপস্থিতি ভারতীয় আক্রমণভাগে কিছুটা হলেও দুর্বলতা তৈরি করবে, যা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে। যদিও ভারত একটি শক্তিশালী দল, তবুও বাংলাদেশের ঘরের মাঠের সুবিধা এবং দর্শকদের সমর্থন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ দল ভারতের কৌশল বিশ্লেষণ করে নিজেদের খেলার পরিকল্পনা সাজিয়েছে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের পাশাপাশি রক্ষণভাগকে সুসংহত রেখে প্রতিআক্রমণে যাওয়ার কৌশল অবলম্বন করতে পারে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে একটি ইতিবাচক ফল বাংলাদেশের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের যাত্রায় নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে এবং দেশের ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।