আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সকালে টস জেতেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক, এবং ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে টাইগাররা ঘরের মাঠে এই সিরিজে ভালো শুরু করতে বদ্ধপরিকর। দলের লক্ষ্য থাকবে আইরিশ ব্যাটসম্যানদের দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে প্রথম ইনিংসে তাদের কম রানে আটকে রাখা। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দেশের মাটিতে খেলা একটি টেস্ট সিরিজ, যেখানে জয় তুলে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সিলেটের উইকেট সাধারণত স্পিন-সহায়ক হয়ে থাকে, তাই টস হেরে ফিল্ডিং করাটা টাইগারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে, বাংলাদেশের পেসাররাও সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে রয়েছেন এবং পরিবেশের সুবিধা কাজে লাগাতে চাইবেন। অধিনায়ক শান্ত আশা করছেন, বোলাররা তাদের সেরাটা দিয়ে আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারবেন এবং ফিল্ডাররাও ক্যাচ ধরা ও ফিল্ডিংয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করবেন। এই সিরিজটি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশ দল নিবিড় অনুশীলন করেছে। বিশেষ করে, ব্যাটসম্যানদের দীর্ঘক্ষণ উইকেটে টিকে থাকার এবং বোলারদের সঠিক দৈর্ঘ্য ও দিশায় বল করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে হচ্ছে, তাই বোলারদের কাঁধে দায়িত্বটা বেশি। নতুন বলে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা সহজ হবে। দলের প্রশিক্ষক দলও প্রতিপক্ষের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। দ্য ডেইলি স্টার সূত্রে জানা গেছে, দলের তরুণ খেলোয়াড়দের ওপরও অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, যারা নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছেন।
ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় পরিবেশের সুবিধা বাংলাদেশের দিকে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিলেটে দর্শক উপস্থিতি সবসময়ই উৎসাহব্যঞ্জক হয় এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সমর্থকরা টাইগারদের পাশে থেকে তাদের অনুপ্রেরণা যোগাবেন। প্রথম টেস্টে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে সিরিজে এগিয়ে থাকতে পারলে দ্বিতীয় ম্যাচে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য এবং ধারাবাহিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর এই দুটি গুণই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্রিকেট মাঠের উত্তেজনার পাশাপাশি বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনেও চলছে নতুন উদ্দীপনা। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের তারকা মাঝমাঠের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী সম্প্রতি ঢাকা এসেছেন এবং ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখার পর তিনি জানান, ভারতের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়ার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। এটি বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। যুগান্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় দল ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে একটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে, যা ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দলের কৌশল ও খেলোয়াড়দের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। হামজা চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উপস্থিতি দলের মাঝমাঠকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আক্রমণভাগে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিযোগিতামূলক কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস এই প্রীতি ম্যাচের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে নেপালের বিপক্ষে ভালো নৈপুণ্য দেখানোটা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। ফুটবলপ্রেমীরা আশা করছেন, জাতীয় দল এই আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।