গতকাল ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা নগরজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোর পর প্রশাসন ঢাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, যেমন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার, এই হামলার বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে একাধিক স্থানে সহিংসতা সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এসব হামলায় কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং কয়েকটি স্থানে ককটেল বোমা ফাটানো হয়, যা শহরের স্বাভাবিক জনজীবনকে ব্যাহত করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা মূলত জনবহুল এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। বিশেষ করে, গণপরিবহন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা হামলার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়। যুগান্তর পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এসব হামলায় বড় ধরনের কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসন ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করেছে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ ও জনসমাগমস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল বৃদ্ধি করেছে এবং সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া এড়িয়ে চলছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যান চলাচল ও পথচারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি ঢাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা স্থবিরতা এনেছে, যা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।