লিবিয়ার আল-খুমস উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চারজন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৯৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের আশায় বহু মানুষ প্রায়ই এমন বিপজ্জনক পথ বেছে নেয়, যা প্রায়শই ট্র্যাজেডিতে শেষ হয়। জনপ্রিয় বাংলাদেশি সংবাদপত্রগুলোর খবর অনুযায়ী, এই নৌকাডুবিতে অসংখ্য পরিবার তাদের স্বজনদের হারিয়েছেন, যা দেশে ও বিদেশে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।
জানা গেছে, ৯৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহনকারী দুটি নৌকা লিবিয়ার আল-খুমস উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এবং দুর্বল নৌযান হওয়ায় মাঝপথেই নৌকা দুটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও প্রতিকূল আবহাওয়া এবং গভীর সমুদ্রের কারণে উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় কোস্টগার্ড ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দলগুলো তৎপরতা শুরু করে। বেশ কিছু অভিবাসন প্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, অনেকেরই ভাগ্যে সলিল সমাধি জুটেছে। এখনো নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলমান রয়েছে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা বিশ্বব্যাপী একটি বড় অভিবাসন সংকট তৈরি করেছে। অর্থনৈতিকভাবে উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এই বিপজ্জনক পথ বেছে নেয়। লিবিয়া থেকে ইতালির পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। মানবজমিন পত্রিকার প্রতিবেদনেও এই ধরনের অভিবাসন প্রত্যাশীদের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে। দুর্বল নৌযান, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এবং অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়শই এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই রুটে নজরদারি বাড়ানো এবং মানবপাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।