ইউক্রেন যুদ্ধ: জেলেনস্কির ‘স্থায়ী শান্তি’র আহ্বান, বিরতি নয়

ইউক্রেন যুদ্ধ: জেলেনস্কির ‘স্থায়ী শান্তি’র আহ্বান, বিরতি নয়

জেলেনস্কির সুস্পষ্ট বার্তা

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কেবল একটি যুদ্ধবিরতি বা সাময়িক বিরতি নয়, বরং এই যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তাঁর এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে, যেখানে অনেকেই সংঘাতের একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ খুঁজছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, যেমন বিবিসি বাংলা, এই খবরটিকে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে, যা চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির গভীরতা তুলে ধরছে। জেলেনস্কি মনে করেন, যেকোনো সাময়িক বিরতি রাশিয়াকে পুনর্গঠিত হওয়ার এবং পুনরায় আক্রমণ চালানোর সুযোগ দেবে, যা ইউক্রেনের জন্য আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে।

মস্কোর অবস্থান ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জেলেনস্কির এই আহ্বানের বিপরীতে মস্কোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেন সংঘাতের জন্য ভিন্ন যুক্তি দিয়ে এসেছে এবং তাদের শর্ত অনুযায়ীই সমাধানের কথা বলছে। অন্যদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে, তবে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া এখনো জটিল ও অনিশ্চিত। দ্য ডেইলি স্টার-এর মতো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলোও এই সংঘাতের আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতি নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জেলেনস্কির এই বার্তা শান্তি আলোচনার টেবিলে নতুন চাপ সৃষ্টি করবে এবং উভয় পক্ষকে একটি টেকসই সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে, যদিও পথটি অত্যন্ত বন্ধুর।

শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ ও বৈশ্বিক প্রভাব

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ এখনো অনেক অনিশ্চয়তায় পূর্ণ। জেলেনস্কির ‘স্থায়ী শান্তি’র আহ্বান একদিকে যেমন ইউক্রেনের দৃঢ় সংকল্পের প্রকাশ, অন্যদিকে এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও একটি স্পষ্ট বার্তা যে, এই সংঘাতের কোনো সহজ সমাধান নেই। যুদ্ধবিরতির বদলে পূর্ণাঙ্গ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে উভয় পক্ষকে অনেক ছাড় দিতে হবে, যা এই মুহূর্তে অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। এই সংঘাতের বৈশ্বিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী, যা জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য সরবরাহ এবং আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করছে। প্রথম আলো সহ বাংলাদেশের অন্যান্য গণমাধ্যমগুলো নিয়মিতভাবে এই যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও মানবিক দিকগুলো তুলে ধরছে, যা বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা প্রদান করে।

Share this article:

সর্বশেষ খবর