সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রবেশপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা দৃশ্যমান। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও কর্মসূচির কারণে জনজীবনে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, আটটি সমমনা দলের একটি যৌথ সমাবেশের পর ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছিল। এই ধরনের সমাবেশগুলো একদিকে যেমন রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি রাজধানীতে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। ধানমন্ডি ও গুলশানের মতো ব্যস্ত এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি শান্ত নয়। প্রথম আলোসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম এ ধরনের ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরছে। এই বিস্ফোরণগুলো কেবল ভীতি সৃষ্টি করে না, বরং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনা তদন্তে তৎপর রয়েছে, তবে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সহিংসতায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। এই ধরনের প্রাণহানি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন মহল থেকে এই সহিংসতার নিন্দা জানানো হচ্ছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো এই বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।