ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: গ্রেফতার ও তদন্তের মুখে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: গ্রেফতার ও তদন্তের মুখে

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক গ্রেফতার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক হালিম দীর্ঘদিন ধরে তার বিভাগের পুরুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করে আসছিলেন। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে এবং অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।

অভিযোগের বিস্তারিত ও শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

অধ্যাপক এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষ শিক্ষার্থী প্রকাশ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছেন এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। এসব অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকলেও সম্প্রতি কিছু শিক্ষার্থী সাহস করে মুখ খোলায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা বলছেন, একজন শিক্ষক যখন এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, তখন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আস্থার জায়গাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

আইনি প্রক্রিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ

গ্রেফতারের পর অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এ ঘটনায় একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। অতীতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও, পুরুষ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

Share this article:

সর্বশেষ খবর