সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় বাজারজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা সীমিত আয়ের মানুষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছিল।
পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে যে, যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম প্রত্যাশিত মাত্রায় নেমে না আসে, তাহলে সরকার পণ্যটি আমদানির অনুমতি দেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্য স্থিতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে এবং বাজার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে।
সরকারের এই আমদানি সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আমদানির অনুমতি দিলে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে দাম কমতে শুরু করবে। তবে, কেবল আমদানির ওপর নির্ভর না করে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। দেশের ভেতরে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণের উন্নত ব্যবস্থা এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানোর মতো পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি সুসংহত বাজার ব্যবস্থাপনা এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ উভয়ই পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অপরিহার্য।