গতকাল সকালে অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা আকস্মিকভাবে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং বহু লোককে আটক করে। এই গ্রেফতার অভিযান মূলত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী পর্যন্ত রয়েছেন। এই ধরনের অভিযান ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা চলমান সংঘাতকে আরও উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে এগোতে ইসরায়েলি 'শর্তভঙ্গ' বন্ধের কঠোর শর্ত আরোপ করেছে হামাস। গতকাল হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর 'শর্তভঙ্গ' অব্যাহত থাকলে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা সম্ভব নয়। বিবিসি বাংলা সূত্রে জানা গেছে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে এবং দাবি করেছে যে, ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করেনি। এই শর্তারোপ এমন এক সময়ে এলো যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। হামাসের এই অবস্থান যুদ্ধবিরতি আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযান এবং গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের কঠোর অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ খাদ্য, পানি ও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ভুগছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বৈশ্বিক শক্তিগুলো এই সংঘাতের একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিলেও, উভয় পক্ষের অনমনীয় মনোভাব এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এই সংঘাতের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।