দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ই নভেম্বর 'ঢাকা অবরোধ' কর্মসূচির ঘোষণার পর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছে, যা জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ধরনের কর্মসূচির ডাক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জনজীবনকে ব্যাহত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার কঠোর অবস্থানে থাকলেও, এমন একটি ঘোষণার ফলে রাজধানীতে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিগত সময়েও রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অস্থিরতা দেখা গেছে, তাই এই নতুন ঘোষণা সতর্কতামূলক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।
১৩ই নভেম্বরের 'ঢাকা অবরোধ' কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। গণপরিবহন চলাচল ব্যাহত হওয়া, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে এবং উস্কানিমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
যেহেতু এই রাজনৈতিক দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত, তাই তাদের অনলাইন মাধ্যমে এমন কর্মসূচির ঘোষণা আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ। নিষিদ্ধ কোনো দলের এমন কার্যকলাপ দেশের বিদ্যমান আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। প্রশাসন এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তা দেখার বিষয়। অতীতেও নিষিদ্ধ ঘোষিত দলগুলোর গোপন তৎপরতা এবং প্রকাশ্য কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কর্মসূচির ডাক সেই বিতর্কেরই নতুন একটি অধ্যায়। এটি রাষ্ট্রের প্রতি একটি স্পষ্ট অবজ্ঞা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য একটি পরীক্ষা।