দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে, অবশেষে ভারতের বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১-০ গোলে পরাজিত করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, যা নতুন করে আশা জাগিয়েছে। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন, যার একমাত্র গোলে নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক বিজয়। এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, বরং এটি আত্মবিশ্বাস ও ঘুরে দাঁড়ানোর এক নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের ফুটবলে।
ঢাকার মাঠে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শেখ মোরসালিনের দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ায় এবং বাংলাদেশ ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এই গোলটি শুধু ম্যাচের ভাগ্যই নির্ধারণ করেনি, বরং এটি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের জয় না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিল। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা অসাধারণ দৃঢ়তা ও সংহতি প্রদর্শন করল। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ম্যাচের আগে চাপ সামলানোর কথা বলেছিলেন এবং মাঠে তার দল সেই চাপকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হলো। রক্ষণভাগ ছিল সুসংহত এবং আক্রমণভাগও সুযোগ তৈরি করতে সফল হলো, যা এই জয়ের অন্যতম কারণ।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় এসেছিল সুদীর্ঘ ২২ বছর আগে। শেখ মোরসালিনের এই গোলটি সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছে এবং জাতীয় দলের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, যেমন প্রথম আলো ও যুগান্তর, এই জয়কে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি বাঁক বদলের মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই জয় এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে এবং পরবর্তী ম্যাচগুলোতে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স, বিশেষ করে শেখ মোরসালিনের মতো ফুটবলারদের উত্থান, বাংলাদেশের ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। এই জয় নিঃসন্দেহে দেশের ফুটবল অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।