কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশেষ করে ওপেনএআই-এর তৈরি চ্যাটজিপিটি, যা এখন প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে, তা এই প্রযুক্তির অভাবনীয় জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে। কর্মক্ষেত্রে চ্যাটবটটির দ্রুত গ্রহণ এর সাফল্যের অন্যতম কারণ। এটি শুধু ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজ সহজ করছে না, বরং বিভিন্ন শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ওপেনএআই সম্প্রতি এই বিশাল ব্যবহারকারী সংখ্যার তথ্য প্রকাশ করেছে, যা এআই-এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল একটি প্রযুক্তি নয়, এটি আধুনিক ব্যবসার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দক্ষ করে তুলছে, নতুন নতুন উদ্ভাবনের পথ দেখাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এআই প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে ১৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসাকে উপকৃত করবে এবং ই-কমার্স রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এটি কর্মীদের পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ থেকে মুক্তি দিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।
বৈশ্বিক এআই বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। স্থানীয় উদ্ভাবকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ফিনটেক (আর্থিক প্রযুক্তি) খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। সম্প্রতি, বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ডস-এ ২৬টি উদ্ভাবনী ফিনটেক সমাধান ও উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা দেশের প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির পরিচায়ক। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই পুরস্কারগুলো স্থানীয় উদ্ভাবকদের অনুপ্রাণিত করবে এবং দেশের আর্থিক পরিষেবাগুলোকে আরও আধুনিক ও সহজলভ্য করতে সহায়তা করবে। সরকারও সংযোগ, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।