দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এক ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রতিবেশী ভারতকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই দলের হয়ে একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেন তরুণ মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন। এই জয় কেবল তিন পয়েন্টই এনে দেয়নি, একই সাথে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের বহুদিনের জয়খরা ঘুচিয়েছে, যা দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে এই জয়কে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দল আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয়। বিশেষ করে মাঝমাঠে শামিট শোমের অন্তর্ভুক্তি দলের খেলায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। তার সাথে শেখ মোরসালিনের বোঝাপড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যাচের কৌশলগত পরিবর্তনগুলো দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কোচিং স্টাফের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। ভারতের শক্তিশালী রক্ষণভাগ ভেদ করে মোরসালিনের গোলটি ছিল অসাধারণ এক মুহূর্ত, যা ম্যাচের গতিপথ পুরোপুরি বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। খেলোয়াড়দের দৃঢ়তা ও খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখার মানসিকতা এই জয়ের পেছনে অন্যতম কারণ।
এই জয় এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। যদিও এখনও অনেক পথ বাকি, তবে ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এই জয় দলের আত্মবিশ্বাসকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় শামিট শোম এই জয়ের পর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এই জয় আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের জয়হীন থাকার ধারা ভাঙতে সাহায্য করবে এবং আগামী ম্যাচগুলোতে দল আরও ভালো খেলবে। যুগান্তরের খবর অনুযায়ী, এই ফল জাতীয় দলকে সামনের ম্যাচগুলোতে আরও উজ্জীবিত করবে এবং ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে তারা বদ্ধপরিকর। এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলের অনুপ্রেরণা যোগাবে।