বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার জাহানারা আলমের আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক গভীর সংকটের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া এমন অপ্রীতিকর ঘটনার কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপ নারী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চাপা থাকা নানা সমস্যার নতুন করে উন্মোচন করেছে। এমন একজন পরিচিত মুখের কাছ থেকে এমন গুরুতর অভিযোগ আসায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাহানারা আলমের অভিযোগের পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রীড়ামোদীরাও এই ঘটনায় স্তম্ভিত। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ। এমন গুরুতর অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা না গেলে, নারী ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জাহানারা আলমের এই অভিযোগ বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের সুরক্ষার বিষয়টি নতুন করে সামনে এনেছে। দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে এখন নারী খেলোয়াড়দের জন্য একটি নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে আরও বেশি সচেষ্ট হতে হবে। সম্প্রতি নারী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, যা নারী ক্রিকেটের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। তবে এই ধরনের টুর্নামেন্ট সফল করতে হলে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও সম্মান সবার আগে নিশ্চিত করা জরুরি। ভবিষ্যতে যেন কোনো নারী ক্রীড়াবিদকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে না হয়, তাঁর জন্য কঠোর নীতিমালা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।