সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে, যা দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে আলোচিত হচ্ছে। দ্য ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকার এসব সাক্ষাৎকারের বিষয়ে তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এই অসন্তোষের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সাক্ষাৎকারে এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যা বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এর প্রতিক্রিয়া সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্বস্তির মধ্যেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু এলাকায় অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল হামলার মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছেন। বিশেষ করে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যুগান্তর-এর খবর অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ব্যাপক উপস্থিতি জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। পাশাপাশি, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা চলছে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নিত্যদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে সরকার সজাগ দৃষ্টি রাখছে। বিভিন্ন মহল থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানানো হচ্ছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য। তাই সকল রাজনৈতিক পক্ষকে সংলাপে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। এই মুহূর্তে দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে বিবেচিত হচ্ছে।