বাংলাদেশের সংগীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ৮০ ও ৯০ দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবা তানী আকস্মিকভাবে পরলোকগমন করেছেন। ঢাকার উত্তরাস্থ নিজ বাসভবনে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গন এবং তার অগণিত ভক্ত-অনুরাগী গভীরভাবে শোকাহত। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শিল্পীর মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তার পরিবারের সদস্যরা এবং ঘনিষ্ঠজনরা এই মুহূর্তে বাকরুদ্ধ এবং গভীর শোকে আচ্ছন্ন।
সাবা তানী ছিলেন বাংলাদেশের সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সুরেলা কণ্ঠ এবং অনন্য গায়কী তাকে দ্রুত শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছিল। ৮০ ও ৯০ দশকে তার অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে এবং তিনি হয়ে ওঠেন সেই সময়ের অন্যতম ব্যস্ত শিল্পী। আধুনিক গান থেকে শুরু করে লোকসংগীত, বিভিন্ন ধারার গানে তার সাবলীল বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তার পরিবেশিত গানগুলো আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে এবং অনেক নতুন প্রজন্মের শিল্পীর জন্য তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
সাবা তানীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ঢেউ লাগে। বরেণ্য শিল্পী, সুরকার, গীতিকার এবং তার সমসাময়িক ও পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই তার সঙ্গে কাটানো স্মৃতিচারণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। তার ভক্তরাও তাদের প্রিয় শিল্পীকে হারিয়ে শোকবিহ্বল। দেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে, শিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণ দেশের সাংস্কৃতিক জগতে যে শূন্যতা তৈরি করেছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
শিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুর পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তার বাসভবন থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে কোনো অস্বাভাবিকতার খবর পাওয়া যায়নি, তবুও বিস্তারিত জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের সদস্যরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার শেষকৃত্যের আয়োজন নিয়ে আলোচনা করছেন। সাবা তানীর পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুতই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে এবং তার ভক্তরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন।