দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১৭৬ জন নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১৭৬ জন নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশের সবচেয়ে বড় কম বাজেটের এয়ারলাইন্সে। মুয়ান বিমানবন্দরের কাছে এই দুর্ঘটনায় বিমানটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার কারণ হতে পারে। তবে এখনো প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  


দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ জানিয়েছে, পাখির আঘাতে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়তে পারে। সঙ্গে খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফায়ার সার্ভিস প্রধান লি জিয়ং-হুন বলেছেন, “আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”  


দুর্ঘটনার পর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, “আমরা যা যা করার দরকার সব করবো। এই কষ্টের জন্য আমরা দুঃখিত।” সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ দল কাজ শুরু করেছে।  


দুর্ঘটনার পরপরই মুয়ান বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চই স্যাং-মক ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন।  


চই স্যাং-মকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তিনি উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় লোকবল, উপকরণ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সাহায্য দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  


### **রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট**  

দুর্ঘটনার সময় দেশটি একটি রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মাত্র শুক্রবারই চই স্যাং-মক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এই দুর্ঘটনা তার নেতৃত্বের প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন।  



একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, “বিমানটি হঠাৎ করে খুব নিচুতে নামতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। এটি ছিল একটি ভয়ঙ্কর দৃশ্য।”  



দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ এই দুর্ঘটনায় শোকাহত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। দেশজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।  


এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার এভিয়েশন সেক্টরের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এটি দেশের জন্য শুধুমাত্র একটি মানবিক বিপর্যয় নয়, বরং বিমান নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার কাজ ও তদন্তের অগ্রগতি দেশবাসী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।  

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১৭৬ জন নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১৭৬ জন নিহত

Share this article:

সর্বাধিক পঠিত

সর্বশেষ খবর