নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র মধ্যে ক্রমাগত অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা ও সমর্থন প্রকাশ করলেও, সময়সীমা ও সরকারের বক্তব্যের অস্পষ্টতা নিয়ে নেতারা প্রতিনিয়ত উদ্বেগ জানাচ্ছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, "প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। এমন বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াবে।"
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে বলেন, "২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে।" কিন্তু এরপর প্রেস সচিব বলেন, "২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।"
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধোঁয়াশার কারণে বিএনপি'র শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শঙ্কা বাড়ছে। অধ্যাপক তারানা বেগম বলেন, "সরকার কৌশলী হয়ে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।"
বিএনপি নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন, তাদের সমালোচনামূলক বক্তব্য সরকারের প্রতি সহযোগিতারই অংশ। তবে দলীয় অভ্যন্তরে নির্বাচন নিয়ে চাপ ও নেতৃত্বে শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়েও দলের মধ্যে অস্থিরতা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, "দুর্বল সরকার জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। আমরা জনগণের জন্য লড়াই করছি।"
সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অবশ্য বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট হয়নি। আমরা আলোচনা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছি।"
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি'র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া কৌশলগত পদক্ষেপ নাকি শঙ্কার বহিঃপ্রকাশ, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
বিএনপির সরকারের প্রতি আস্থা কমছে? নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে অসন্তোষ