সম্প্রতি ঢাকার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমেছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে। চট্টগ্রামেও একই ধরনের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। সরকারের পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তের পরই এই মূল্যহ্রাস ঘটেছে, যা দ্রুত বাজার স্থিতিশীল করতে সহায়ক হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের উচ্চমূল্য নিয়ে জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছিল, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। বর্তমান মূল্যহ্রাস সেই চাপ কিছুটা হলেও কমিয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতে পেঁয়াজের দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে আসবে এবং ভোক্তারা উপকৃত হবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় গত ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানি পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল করা এবং পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ করাই ছিল এই সিদ্ধান্তের প্রধান উদ্দেশ্য। এই ঘোষণার পরপরই দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের এই ত্বরিত পদক্ষেপের ফলে ব্যবসায়ীরা নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, সীমান্ত খুলে দেওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের ফলে পেঁয়াজ আমদানি প্রক্রিয়া আরও মসৃণ হবে, যার সুফল সরাসরি ভোক্তারা পাবেন।
যদিও পেঁয়াজের দামে তাৎক্ষণিক স্বস্তি ফিরেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল রাখা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভোক্তারা আশা করছেন, আমদানি প্রক্রিয়া মসৃণ রাখা হবে এবং কোনো সিন্ডিকেট যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে। যুগান্তরের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শুধু আমদানি নয়, দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণের উন্নত ব্যবস্থা গড়ে তোলাও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য জরুরি। শীতকালীন সবজির সহজলভ্যতা এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রেও সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপ থেকে মুক্তি পায়।