বাংলাদেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনকে সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চ-স্তরের উপদেষ্টা প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নিয়োগ বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলো, যেমন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার, এই খবরটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে, যা জাতীয় পর্যায়ে এর তাৎপর্য তুলে ধরেছে। এই প্যানেল বৈশ্বিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক নীতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে পরামর্শ দেবেন। ড. ফাহমিদা খাতুনের এই অন্তর্ভুক্তি আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদানের সুযোগ করে দেবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
ড. ফাহমিদা খাতুনের জাতিসংঘ মহাসচিবের উপদেষ্টা প্যানেলে অন্তর্ভুক্তি বৈশ্বিক নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ভূমিকারই প্রতিচ্ছবি। তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ও গবেষণা ক্ষেত্রে গভীর জ্ঞান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অত্যন্ত মূল্যবান বলে বিবেচিত হবে। বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁর পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে উন্নয়নশীল বিশ্বের কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালো করতে পারবেন, যা বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করবে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি মঞ্চ, যেখানে বাংলাদেশ তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দিয়ে আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে অংশ নিতে পারবে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সিপিডি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি, সুশাসন ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা পরিচালনা করে আসছে, যা নীতি নির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সুপারিশ প্রদান করে। ড. ফাহমিদা খাতুন অর্থনীতিতে পিএইচ.ডি. ডিগ্রিধারী এবং উন্নয়ন অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি ও দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপক গবেষণা ও প্রকাশনা রয়েছে। তাঁর এই নিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক গবেষণা ও নীতি প্রণয়নে তাঁর অসামান্য অবদানকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। যুগান্তর ও মানবজমিনের মতো সংবাদপত্রগুলোও বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহলে তাঁর এই অর্জনকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখছে।