আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে নিজেদের কৌশল ও দল গুছিয়ে নিতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে। এই প্রীতি ম্যাচটিকে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখছেন প্রশিক্ষণ কর্মীরা এবং খেলোয়াড়রা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ম্যাচটি দলের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা এবং সঠিক সমন্বয় খুঁজে বের করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ভারতের বিপক্ষে চূড়ান্ত লড়াইয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনাকে আরও সুসংহত করবে। দলের লক্ষ্য হলো, এই প্রীতি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয় তুলে নেওয়া এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারত ম্যাচের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।
ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির তারকা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে এসে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং ভারতের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেই তিনি জানান, দেশের জন্য জয় ছিনিয়ে আনাই তার প্রধান লক্ষ্য। হামজার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে দলের মনোবল বাড়াবে। পাশাপাশি, দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রাকিব হোসেনও ভারতের বিপক্ষে দেশের জন্য জয় এনে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। দ্য ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্বাস করেন, এই ম্যাচটি দেশের ফুটবল ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হতে পারে। খেলোয়াড়দের এমন আত্মবিশ্বাস ও জয়ের প্রতিজ্ঞা সমর্থকদের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে।
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি কেবল একটি ম্যাচ নয়, এটি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের কৌশল যাচাইয়ের একটি বড় সুযোগ। এই ম্যাচে নতুন খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করা হবে এবং বিভিন্ন খেলার বিন্যাস প্রয়োগ করে দলের সেরা একাদশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। প্রশিক্ষণ কর্মীরা এই ম্যাচটিকে একটি প্রস্তুতিমূলক অনুশীলন হিসেবে দেখছেন, যেখানে ভুলগুলো শুধরে নিয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে ভারত ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়া যাবে। এদিকে, প্রতিপক্ষ ভারতের খেলোয়াড় তালিকায় বড় পরিবর্তন এসেছে। তাদের তারকা আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই দল ঘোষণা করা হয়েছে, যা মানবজমিনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির কারণ হতে পারে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই বাংলাদেশ দল তাদের চূড়ান্ত কৌশল সাজাচ্ছে।